ফালুর অর্থ পাচার মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি ১৭ আগস্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ৭ আগস্ট,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৩৯ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
দুবাইয়ে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন হিসেবে ১৭ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রবিবার ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ফালুকে অভিযোগপত্রে ‘পলাতক’ দেখানো হয়েছে, কারণ তিনি কোনো আদালতের কাছ থেকে এ মামলার জন্য জামিন নেননি। বিএনপি নেতা ফালুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও তিনি বিদেশে চলে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরবর্তীতে এ মামলায় ফালুকে ‘পলাতক’ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে।
ফালু ছাড়া অন্য দুজন আসামি হলেন আরএকে সিরামিকস লিমিটেডের ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ কে ইকরামুজ্জামান এবং স্টার সিরামিকস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান। তারা দুজনই বর্তমানে জামিনে আছেন। দুদকের সহকারী পরিচালক ও এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ম. গুলশান আনোয়ার প্রধান গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সিনিয়র স্পেশাল জজ কোর্টের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৯ সালের ১৩ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় ফালু ও অন্য ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুবাইয়ে ১৮৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলার এজাহার মতে, ফালু ও অপর ৩ ব্যবসায়ী আরএকে সিরামিকস ও রাখেন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির এমডি এস এ কে একরামুজ্জামান, স্টার সিরামিকস লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান এবং পরিচালক ম. আমির হোসাইন দুবাইতে ২০১০ সালে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ট্রাই স্টার লিমিটেড ও ডেভেলপমেন্ট ইইউই নামে ৩টি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে দেশটি থেকে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচার করেন। আদালতের নির্দেশ মতে, এ মামলার সূত্রে দুদক ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর ফালুর ৩৪৩ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করে।