খালাসের পরও কনডেম সেলে ৭ বছর : বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ৭ আগস্ট,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:২৩ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
হাইকোর্ট থেকে খালাসের পরও সাত বছর ধরে কনডেম সেলে থাকা আবুল কাশেমের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ২৫ আগস্ট হাইকোর্টের রেজিস্টারের মাধ্যমে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আজ রবিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে আবুল কাশেমের মুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে স্বতপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেয়ার জন্য আর্জি জানানো হয়েছিল। একই সঙ্গে ঘটনার বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। এরপর আদালত রিট করার জন্য নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করা হয়। পরে ওই বেঞ্চ থেকে বলা হয়, এই আবেদনের বিষয়ে রবিবার শুনানি হতে পারে। তারই ধারাবাহিকতায় সেটি শুনানি হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে এ বিষয়ে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত প্রতিবেদন উচ্চ আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রামের লোহাগড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পান আবুল কাশেম। তার খালাস পাওয়ার আদেশ যথা সময়ে উচ্চ আদালত থেকে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে যায়। কিন্তু সাত বছর তিন মাস ১১ দিনেও আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়নি। এর আগে ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল একটি মামলায় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত হাজিরা দিতে আসলে আবুল কাশেমকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠান। সেই দিন থেকে কারাগারের কনডেম সেলে আছেন তিনি। আবুল কাশেম লোহাগড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ার বেলায়েত আলীর ছেলে। আবুল কাশেমের ছেলে ইফতেখার হোসেন নোহাশ বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন বিনা বিচারে কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। একটি মামলা ছিল, সেটাতেও জামিনে ছিলেন। আমার বাবার মুক্তি চাই।