নিরুপায় হয়েই জ্বালানির দাম সমন্বয় করেছে সরকার : নসরুল হামিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ৬ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:১৬ পিএম, ৪ জানুয়ারী,শনিবার,২০২৫
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল, ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর চিন্তা করেনি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই দাম কিছুটা সমন্বয়ে যেতে হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার (০৫ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিৃবতিতে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, গতকাল শুক্রবারই বিকেলে বলেছিলাম জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে। তবে সেই বৃদ্ধির মাত্রা হবে ‘যৌক্তিক’ এবং ‘সহনীয়’। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তেলের দাম বাড়াল সরকার, মূল্যবৃদ্ধির হারের দিক থেকে যা রেকর্ড। ডিজেল ও কেরোসিনের ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা। পেট্রলে ৪৪ টাকা এবং অকটেনে বেড়েছে ৪৬ টাকা। গতকাল দিবাগত রাত ১২টার পর থেকেই নতুন দাম কার্যকর হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের দাম পুনর্বিবেচনা করা হবে।
এদিকে, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে যাত্রীদের ওপর চাপ বিপুলভাবে বাড়বে বলে মনে করছেন পরিবহনখাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেশে দাম কম থাকায় তেল পাচারের আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করে বলা হয়, ভারতের কলকাতায় ডিজেলের দাম প্রতি লিটার বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৪ টাকা। পেট্রলের দাম ১৩০ টাকা। দেশে দাম কম থাকায় পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো সময়ের দাবি।
বিপিসি গত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই) জ্বালানি তেল বিক্রি করে ৮ হাজার ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতির দিকে। আগামী দিনগুলোয় তা আরও কমবে।