এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : ট্রাইব্যুনালে বিচারের নির্দেশনা চেয়ে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৬ পিএম, ১ আগস্ট,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আলোচিত সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট দায়ের করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী এম. আব্দুল কাইয়ুম লিটন এ রিট দায়ের করেন।
তিনি জানান, গত বছরের (২০২১) জানুয়ারি মাসে ধর্ষণ মামলায় এবং চলতি বছরের মে মাসে চাঁদাবাজির মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। এ কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে মামলার বাদী ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী এ রিট করার অনুমতি নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন এক তরুণী। এ সময় ক্যাম্পাস থেকে কয়েকজন ছাত্র ওই তরুণীকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। সেদিন রাতেই ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিন জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলো− এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। এরই মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলায় আট জনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০২১ সালের ১৭ জনুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী। অভিযোগপত্রে আসামিরা হলো- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম। এছাড়াও এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেয়া হয়। পরে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে আসলে দুটি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর চলতি বছরের ১১ মে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন আদালত।