ঋণের দায়ে বাংলাদেশ দেউলিয়া হতে পারে : জিএম কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১২ পিএম, ১৫ জুলাই,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৮ এএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘ঋণের দায়ে বাংলাদেশ দেউলিয়া হতে পারে। দেশের ঋণের পরিমাণ ১৬ লাখ কোটি টাকা। আগামীতে সুদসহ এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তখন দেশের অবস্থা ভয়াবহ হতে পারে।’
আজ শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে জুরাইন রেলগেটে শ্যামপুর-কদমতলী থানা জাতীয় পার্টি আয়োজিত দলের প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির এ কথা বলেন জিএম কাদের।
জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ আর শ্রীলংকার মধ্যে অনেক মিল। করোনাকালে পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শ্রীলঙ্কার। আবার দশ বছর গৃহযুদ্ধ করেও দেউলিয়া হয়নি শ্রীলংকা। শুধু ঋণের বোঝা টানতে গিয়ে দেউলিয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কা। আবার শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে একই রাজনৈতিক বাস্তবতা। আর একারণেই বাংলাদেশে শ্রীলংকার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘দুটি দেশেই কোথাও জবাবদিহিতা নেই। এমন দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। দেশের জন্য রাজা পেতে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদরা জীবন দেননি। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে জনগণের প্রতিনিধি পেতে, কিন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা প্রতিনিধি পাইনি পেয়েছি জনগণের রাজা।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঋণ নির্ভর বাজেট হয়েছে। বাজেটে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ও বেকারত্ব কমাতে কোনো বরাদ্দ নেই। গেল বছরও লক্ষ্য অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় হয়নি। এবার লক্ষমাত্রা অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় না হলে ঋণ করে কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা দিতে হবে। ব্যাংকগুলোতে টাকা থাকবে না। ভয়াবহ অবস্থার দিকে যাচ্ছে দেশ।’
জিএম কাদের বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। সরকারের নজর নেই। আমরা বলেছি ভর্তুকি দিয়ে হলেও নিত্যপণের দাম সহনশীল মাত্রায় রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে দেশ থেকে। আমরা আর কোনো মেগা প্রকল্প চাই না। আমরা চাই, মানুষ যেন খেয়ে-পড়ে বাঁচতে পারে। মানুষ যেন হাসপাতালে গিয়ে সহজে সুচিকিৎসা পায়।’
নিজের বড় ভাইকে স্মরণ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন দেশপ্রেমিক নেতা। তিনি গণমানুষের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি করেছিলেন। যদিও পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের মতো উপজেলা ব্যবস্থা নেই। জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতা নেই উপজেলা ব্যবস্থায়।’
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, হারুন অর রশীদ, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, আমির উদ্দিন ডালু, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জহিরুল ইসলাম মিন্টু, গোলাম মোস্তফা, খোরশেদ আলম খুশু প্রমূখ।