হজের নামে প্রতারণার শিকার ৩০০, ব্যবস্থা নিতে এসবি-ডিজিএফআইকে চিঠি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২২ পিএম, ৫ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:২৬ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
কোটা পূরণ হওয়ার পরও এ বছর হজে পাঠানোর নামে ৩০০ জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বেশ কয়েকটি এজেন্সি। টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর এজেন্সিগুলো ধর্ম মন্ত্রণালয়ে তাদের ভিসা করানোর চেষ্টা করলেও সৌদি সরকারের কোটা শেষ হওয়ায় তারা এবার হজে যেতে পারছেন না। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সোমবার (৪ জুলাই) প্রতারণার বিষয়টি তুলে ধরে তদন্ত সাপেক্ষে এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), ডিজিএফআইসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনের পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বারবার সতর্ক করার পরও প্রায় ৩০০ (এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী) হজযাত্রীর সঙ্গে প্রতারণার উদ্দেশ্যে একটি অসাধু চক্র, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অনিবন্ধিত বেনামি এজেন্সি (আল হেলাল এজেন্সি) এবং নিবন্ধিত এজেন্সি মারিয়া, আরবি ট্যুরস হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন না করেও হজে পাঠানোর কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা সোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন উপায়ে ভিসা সংগ্রহের জন্য অপতৎপরতা চালিয়েছেন, যা মোটেও কাম্য নয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সব কোটা পরিপূর্ণ হওয়ার পরও কতিপয় অসাধু চক্রের এমন অপতৎপরতা সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা ও সরকারের ভাবমূর্তির জন্য হানিকর। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অবগত করে সতর্ক করা হলো। অসাধু চক্র/এজেন্সির বিরুদ্ধে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১ ও দেশে প্রচলিত অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বদ্ধ পরিকর। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এবার বাংলাদেশ প্রথম দফায় থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জনকে হজে যাওয়ার সুযোগ দেয় সৌদি সরকার। জুলাইয়ে দ্বিতীয় দফায় অতিরিক্ত ২ হাজার ৪১৫ জন অতিরিক্ত পাঠানোর কোটা মঞ্জুর করে দেশটি।