ঢাকার চারপাশের ব্রিজ ভেঙে নৌ চলাচলের উপযোগী করা হবে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ২৬ জুন,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:২৯ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ঢাকার চারপাশে নদ-নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজ ভেঙে নৌ চলাচলের উপযোগী করে ফের নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ রবিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন রেগুলেটর ও ড্রেনেজ আউটলেট স্ট্রাকচারসমূহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুকূলে হস্তান্তরের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশে নদ-নদীর ওপর যে সেতুগুলো রয়েছে সেগুলো নৌযান চলাচল উপযোগী নয়। এসব সেতু চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ভেঙে নৌযান চলাচল উপযোগী করে নির্মাণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নৌরুট চালু করতে পারলে ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক অনেকটাই কমে আসবে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে খাল হস্তান্তরের পর সেগুলো সংস্কার এবং দখল হয়ে যাওয়া জায়গা ও খাল উদ্ধার করার ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর জলাবদ্ধতা অনেক কম হয়েছে। আমরা দেখেছি ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যেত। আজ কিন্তু সেই পরিস্থিতি নেই। তিনি বলেন, শুধু স্বপ্ন দেখলে হবে না, বাস্তবায়ন করতে হবে। আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে কথার সঙ্গে কাজের মিল রাখতে হবে। কোনো কাজ শুরু করতে যদি দুই বছর যায়, আবার বাস্তবায়ন করতে ৫-৭ বছর লাগে। তাহলে এর সুফল মানুষ পাবে কখন? বাসাবাড়ির সুয়ারেজ লাইন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, শুধু সতর্ক করলে হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা সুয়ারেজ লাইন খালে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও শাস্তির ব্যবস্থা নিলে হবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেপটিক ট্যাংক না করলে সুয়ারেজ লাইন বন্ধ করে দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এই শহরকে পরিকল্পিতভাবে বাসযোগ্য করার জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দুই মেয়র নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক দৃশ্যমান কাজ করেছেন তারা। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।