মানবতাবিরোধী অপরাধ : মৌলভীবাজারে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ১৯ মে,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের আব্দুল আজিজসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বোর্ড এ রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও কে এম হাফিজুল আলম। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুই আসামি হলেন- আব্দুল মান্নান ও আব্দুল মতিন। এর মধ্যে আব্দুল মতিন পলাতক রয়েছে।
রায়ে ২৪০ পৃষ্ঠার মধ্যে সারসংক্ষেপ অংশ পাঠ করা হয়। সকাল ১০টা থেকে রায় পড়া শুরু করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। এরপর রায় পড়েন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার এবং সর্বশেষ দণ্ডসহ মূল রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি।
এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ হায়দার আলী, প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত, ঋষিকেশ সাহা, সুলতান মাহমুদ সীমন, সাহিদুর রহমান, জাহিদ হাসান, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি, রাজিয়া সুলতানা চমন, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, মোসফেকুর রহমান ও তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক।
এর আগে মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় ঘোষণার জন্য ১৯ মে দিন ধার্য করেছিলেন।
গত ১২ এপ্রিল উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি যে কোনোদিন (সিএভি) রায় ঘোষণার জন্য রেখে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর এ তিন জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু করে ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর শেষ করা হয়। তদন্তে তিন আসামির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত মৌলভীবাজারের বড়লেখা এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি মানবতাবরোধী অপরাধের মামলায় বড়লেখার তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ১ মার্চ মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানা পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর ২ মার্চ আব্দুল আজিজ ও আব্দুল মান্নানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
আসামি দুই সহোদর আব্দুল আজিজ ও আব্দুল মতিন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তারা প্রশিক্ষণ নিতে ভারতের বারপুঞ্জিতে যান। কিন্তু প্রশিক্ষণরত অবস্থায় পালিয়ে এসে তারা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। আসামি আব্দুল মতিন পলাতক রয়েছেন।