রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই - ডা. এনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ১০ মে,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪৫ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এ বিষয়ক দুই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। ইউএসএইডের ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (পলিসি অ্যান্ড প্রোগ্রামিং) ইসোবেল কোলম্যান ও ইন্ডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম অন মিয়ানমারের (আইআইএমএম) প্রধান নিকোলাস কোয়ামজিয়ানের নেতৃত্বে দুটি প্রতিনিধিদল এ বৈঠক করে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তারা কী বলেছেন- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, তারা বলেছেন পৃথিবীতে প্রায় ৫০ লাখ শরণার্থী আছে। এর সঙ্গে ইউক্রেনের প্রায় ৭০ লাখ শরণার্থী যোগ হয়েছে, তারা এদের নিয়ে কাজ করছেন। অন্যান্য শরণার্থী শিবিরে যেভাবে কাজ করছেন এখানেও সেভাবেই কাজ করবেন। দ্রুত তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে তারা চাপ তৈরি করবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইউএসএইড সরাসরি সাহায্য দেয় না। তারা ইউএনএইচসিআর ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে আরও ফান্ড দেবে, যাতে তারা এখানে কাজ করতে পারে। দ্রুত এই সাহায্য দেয়া হবে যাতে তারা ভাষানচরে কাজ শুরু করতে পারে। মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষিক উদ্যোগের কী অবস্থা- এ বিষয়ে এনামুর রহমান বলেন, এটা নিয়ে গত মাসেই একটি মিটিং হয়েছে। সেখানে নাগরিকদের একটি তালিকা দেয়া হয়েছে, মিয়ানমার সেটা গ্রহণ করেছে। এটা প্রক্রিয়াধীন। এ পর্যন্ত আমরা ৩৫ হাজার তালিকা দিয়েছি। তবে কতজন তারা গ্রহণ করছে এমন কিছু এখনও পাঠায়নি। সবশেষ যদি বলি এখনও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই। ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ অবস্থান বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় আজ অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হেনে দুর্বল হয়ে গেছে। বাংলাদেশে আঘাত হানার কোনো সম্ভাবনা আর নেই। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আইআইএমএমের সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিকোলাসও বলেছেন এটার সমাধান হলো প্রত্যাবর্তন। আমরা যতগুলো অর্গানাইজেশন কাজ করছি, আমাদের মূল লক্ষ্য স্বদেশে তাদের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা দিয়ে ফেরত পাঠানো। এরজন্য তারাও কাজ করছেন। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক জনমত তৈরি করতেও তারা কাজ করবেন। মিয়ানমারের সঙ্গেও তারা বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা জানালেন, মিয়ানমার সরকার তাদের সহযোগিতা করেনি বলে এটা সম্ভব হয়নি।