সুপ্রিম কোর্ট বারে আইনজীবীদের হাতাহাতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০২:২৮ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (বার অ্যাসোসিয়েশন) ২০২২-২০২৩ কার্যনির্বাহী কমিটির ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স কক্ষের সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আইনজীবীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির আইনজীবীদের অভিযোগ, বার অ্যাসোসিয়েশন ২০২২-২০২৩ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র আইনজীবী এ ওয়াই মসিউজ্জামান বিদ্যমান আছেন। এরপরও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা জোর করে নতুন আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট অজিউল্লাকে ঘোষণা করেন। অজিউল্লাহ ও শফিউল্লাহর নেতৃত্বে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তৃতীয় তলার দরজার তালা ভেঙে কনফারেন্স কক্ষে ঢুকে পড়ে। এ সময় নবনির্বাচিত সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির তাদের সঙ্গে ছিলেন। আর কক্ষের বাইরে অবস্থান নেন আইনজীবীরা। অন্যদিকে বিএনপিপন্থীরা কক্ষের বাইরে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে দু পক্ষের চিল্লাপাল্লা ও হাতাহাতির পর ঘটনাস্থলে পুলিশ চলে আসে। এর আগে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (বার অ্যাসোসিয়েশন) ২০২২-২০২৩ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট অজিউল্লাহ নিজেই সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি জানান, আমাকে (অজিউল্লাহকে) গত (১২ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট বারের ১৫তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক করে দায়িত্ব দেয়া হয়। গত ১৫ ও ১৬ মার্চ নির্বাচনে অনুষ্ঠিত ভোটের করণীয় কাজ সম্পন্ন করা হবে। তারই আলোকে ফলাফল (আজ ২৭ এপ্রিল) বুধবার ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। এদিকে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বারের ১৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়নি এবং নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র আইনজীবী এ ওয়াই মসিউজ্জামান বিদ্যমান রয়েছেন। তিনি আবারো আসবেন। আর নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট অজিউল্লাহকে ঘোষণা করা বেআইনি। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত বারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়নি। কারণ সুপ্রিম কোর্ট বারের ১৩তম সভার পরে আর কোনো সভা হয়নি। তার মানে ১৪তম সভা না করে ১৫তম সভা কি করে হয়। এরপরেই বেলা ৩টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স কক্ষের পিছনে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা। এর আগে থেকে ওই কক্ষের সামনে ছিলেন বিএনপির আইনজীবীরা।