ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ ছাত্রীর, নিয়োগ স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩২ পিএম, ২৭ এপ্রিল,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০০ পিএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ পাওয়ার পর ওই বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন। নিজ বিভাগের এক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন, যিনি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন। তবে ছাত্রীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন আকরাম হোসেন। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা সূত্র জানা যায়, সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের দুজন সহকারী অধ্যাপক এবং দুজন লেকচারার নিয়োগের সিলেকশন বোর্ডের সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। সিলেকশন বোর্ডের সহকারী অধ্যাপক পদের সুপারিশ গ্রহণ করেছে সিন্ডিকেট। কিন্তু লেকচারার (প্রভাষক) পদের নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, লেকচারার পদের মধ্যে একজন আবেদনকারীর বিবিএ এবং এমবিএ দুটোতেই ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। তিনি তার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন। তার কাছে যৌন নিপীড়নের অডিও রেকর্ডসহ সব কিছু আছে বলেও জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। পরে এ বিষয়ে সিন্ডিকেটের সভাপতি ও সব সিন্ডিকেট মেম্বারকে তিনি চিঠিও দিয়েছেন। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে লেকচারার পদের নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেনের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে। এখন যৌন নিপীড়ন সেল তদন্ত করে সিন্ডিকেটকে রিপোর্ট দিলে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন বলেন, ওই শিক্ষার্থী দুটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। একটি ২০১৯ সালে আর অন্যটি নিয়োগের সুপারিশের পরের দিন। কিন্তু তার দুটি অভিযোগপত্রের মধ্যে মিল নেই। শিক্ষার্থীর অভিযোগের কপি দুটি পড়লে বোঝা যায় যে, ওই শিক্ষার্থী বিচার চান না, চাকরি চান। তার চাকরি হলে আর অভিযোগ থাকবে না। এসব অভিযোগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও অভিযোগ করেন অধ্যাপক আকরাম। জানতে চাইলে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, নিয়োগে কোনো বৈষম্য হয়নি। সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী দুজনকে নিয়োগ বোর্ড সম্মতিক্রমে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। সুপারিশ করার পর দিন এসে একজন প্রার্থী অভিযোগটি করেছেন। সিন্ডিকেট সে জন্য নিয়োগটি আপাতত স্থগিত রেখেছে।