জানি না, আলু নিয়ে চাষিদের কীভাবে সহযোগিতা করবো : কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:০১ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আলু নিয়ে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আমি জানি না, কীভাবে চাষিদের আলু নিয়ে সহযোগিতা করবো।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নেপালের বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী পম্পা ভূসালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
উত্তরাঞ্চলের একটি জেলায় ন্যায্যমূল্য না পেয়ে আলু রাস্তায় ফেলে প্রতিবাদ করেছেন কৃষকরা। তাই আলুর বহুমুখী ব্যবহার ও প্রক্রিয়াজাতকরণের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন- জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশে কী হয়, এখন দেখেন পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছে না কৃষকরা। আলুরও একই অবস্থা। গত বছর দাম বেশি ছিল এবছর আবার এই অবস্থা। উৎপাদন একটু বেশি হলে চাষিরা বিক্রি করতে পারে না। এখন তো ইচ্ছা করলে আলুর দাম কিছুতেই বাড়াতে পারছি না।
তিনি বলেন, আমাদের কোনো উপায় নেই। এই মুহূর্তে আলুর রফতানি খুবই সীমিত। আলু উৎপাদন হয়ও অনেক দেশে। ইউরোপিয়ান দেশগুলোও সেভাবে আলু আমদানি করে না। রাশিয়া করতো এখন রাশিয়ায় যুদ্ধ। তারা আলু আমদানি ওপেন করেছে কিন্তু ব্যাংকিং সিস্টেম নেই। এখন যুদ্ধের জন্য রফতানি সম্ভব না।
আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, আমি জানি না, কীভাবে চাষিদের আলু নিয়ে সহযোগিতা করবো। তবে আমাদের চেষ্টার কোনো শেষ নেই। মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আলুর রফতানি বাড়ানো ও এগ্রো প্রসেসিং করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। সামনে আলুর মার্কেটিং সহজ হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেমন পেপসি কোম্পানির লেইস চিপস বিদেশ থেকে আসে, তারা সেটা বাংলাদেশে করবে। বোম্বে সুইটসসহ অন্যান্যরা আলুসহ অন্যান্য প্রডাক্ট এগ্রো প্রসেস করছে। একটু সময় লাগবে, আরো এক-দুই বছর লাগবে। ইনশাআল্লাহ আলুর ব্যাপক ব্যবহারও হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, রাশিয়া ও শ্রীলঙ্কায় কিছু আলু রফতানি হতো। শ্রীলঙ্কার অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা ঠিক করেছিলাম রফতানি করবো। এখন রফতানি করলে তারা পেমেন্ট করতে পারবে না। আর রাশিয়ায় যুদ্ধের কারণে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। না হলে রাশিয়া বাংলাদেশের আলুর ওপর যে বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছিল সেটা তারা উঠিয়ে নিয়েছে। কিন্তু যুদ্ধের জন্য (রফতানি) সম্ভব হচ্ছে না।