সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন ৯ই জুন : অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২০ এপ্রিল,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৫০ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী অর্থবছরের বাজেট ৯ জুন জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
আজ বুধবার (২০ এপ্রিল) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আয়কর সীমা ৩ লাখ থেকে বাড়ানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিস্তারিত এখনো ঠিক হয়নি। তবে জনগণের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনতে অবশ্যই উদ্যোগ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বাজেট তৈরি করছি। সব শ্রেণির মানুষের জন্য আসছে বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। কোনভাবেই যেন জনগণের উপর চাপ না বাড়ে সে বিষয়টি নতুন বাজেট প্রণয়নে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
এ সপ্তাহের প্রথমদিকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সভায় ইতিমধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের প্রাথমিক পরিমাণ ঠিক করা হয়েছে। তা হল ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা এবং রাজস্ব আয় ৪ লাখ ৩১ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।
এদিকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ১১টি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় জানানো হয়, ক্রয় কমিটিতে অনুমোদিত এই ১১টি প্রস্তাবের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬২৬ কোটি ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৪৬৯ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৮৮ কোটি ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯২ টাকা এবং এক্সিম ব্যাংক অব চায়না ও এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪ হাজার ১৩৮ কোটি ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৭ টাকা।
ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলো মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৩টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ২টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সব জিনিসের দাম সারাবিশ্বে বেড়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের মার্চ মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক বছরে বিশ্বে গমের দাম বেড়েছে ৩৮ শতাংশ।
গরুর মাংসের ৩৫ শতাংশ, মুরগির মাংসের ৫৫ শতাংশ, সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩৭ শতাংশ, চিনি ১১ শতাংশ, চা ১৩ শতাংশ, টিএসপি সার ৬৫ শতাংশ এবং ইউরিয়া সারের দাম বেড়েছে ২৩৪ শতাংশ। আমাদের এগুলো উচ্চ দামে কিনতে হয়। এগুলোকে সমন্বিত প্রয়াস অব্যাহত রেখে কাজটি করতে হয়।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমদানি নিয়ন্ত্রণে সবসময় পদক্ষেপ নেয়া হয়। আমদানি নিয়ন্ত্রণ তো করতেই হবে, এটা তো ওপেন না। আমদানি করার যে ক্রাইটেরিয়া করেছি কিছু কিছু ক্ষেত্রে কনজ্যুমার প্রোডাক্ট জনসাধারণের জন্য লাগবে সেখানে আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। সেখানে আমরা পাবলিক ও প্রাইভেট উভয় সেক্টর থেকে ইম্পোর্ট করি যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। আর যদি লাক্সারি আইটেম হয় সেগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অবশ্যই করবো। অনেক সময় আন্তর্জাতিক বাজারে স্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হলে আমরা এলাউ করবো।
ডিজিটাল কানেকটিভিটি প্রকল্প সম্পর্ক জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ প্রজেক্টটি আমাদের বিবেচনায় ভালো প্রকল্প। সেখানে অনেক জনবল কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। গণমাধ্যমে এসেছে করোনার মধ্যে দেশে ১ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে ই-কমার্সে। একই খাতে চলতি বছরে আরও ৫ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে। আমরা যে প্রকল্পগুলো অনুমোদন দিই সেক্ষেত্রে দু’টি জিনিস বিবেচনা করি। মৌলিক দু’টি এলাকা বিবেচনা করি, রেভিনিউ জেনারেশন ফর গভর্নমেন্ট এবং কর্মসংস্থান। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।