হাসপাতালে নার্স বদলিতে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত চেয়ে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০২:০৩ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
দেশের সব হাসপাতালে নার্স বদলি, টাকা লেনদেন, বাণিজ্য সংক্রান্ত অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত করতে এবং বদলি বাণিজ্যে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
আজ সোমবার রিট দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব।
তিনি বলেন, রিট আবেদনটি বিচারপতি মো. মজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হবে। রিটে নার্স বদলি বাণিজ্যে লেনদেন হওয়া ১০০ কোটি টাকা ফেরত দেয়ার আরজি জানানো হয়েছে। রিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের অভিযুক্ত মো. জামাল উদ্দিনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে এ সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে। রিটে দেশের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পেশাকে রক্ষার জন্য আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া নার্সদের বদলিতে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরকে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্ত করে অবৈধ সিন্ডিকেটের সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিতকরণ এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি রিট আবেদনে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর তিন মাসে প্রায় চার হাজার নার্সকে বদলি করা হয়েছে। সেই বদলির মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেট প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইভ ফাউন্ডেশনের পক্ষে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের। ওই নোটিশের পর কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের এ রিট দায়ের করেন।