শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামল ছাড়া কোনো শাসনামল ভালো ছিল না : কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩৯ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামল ছাড়া আর কোনো সরকারের শাসনামল ভালো ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে। আর শেখ হাসিনা সরকার দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে।
আজ শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এতিম, প্রতিবন্ধী, অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ এবং ঘাতকের আঘাতে নিহত উমামা বেগম কনকের পরিবার ও ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সরকার নাকি দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে দেশে যা করেছিল তা জনগণ এখনো ভুলে যায়নি। তাদের বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল বহুদলীয় ছদ্মবেশী তামাশা।
এ সময় বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, যে নিজে সংসদ সদস্য হয়ে সংসদে যায়নি, তার মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। গণতন্ত্রের নামে মুখোশ পড়া বর্ণচোরাদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৭৫ পরবর্তীকালে শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামল ছাড়া আর কোনো সরকারের শাসনামল ভালো ছিল না।
এ বছরের জুন মাসে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে পারে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, শতভাগ সততার সঙ্গে পদ্মা সেতুর কাজ করা হচ্ছে। কোনো বিদেশী ঋণ ছাড়াই পদ্মা সেতুর কাজ নির্মাণ হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি হয়নি, হবেও না। অন্যদিকে অন্য সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ একাধিকবার ঋণখেলাপি হয়েছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গাধা যেমন জল ঘোলা করে পানি খায়, তেমনি বিএনপিও আগামী জাতীয় নির্বাচনে জল ঘোলা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করেন তিনি। আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকার নির্বাচন কমিশনকে শুধু সহযোগিতা করবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
পরে এতিম, প্রতিবন্ধী ও বিভিন্ন অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ এবং নিহত কনকের স্বজনদের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ।