২৭ এপ্রিল থেকে গার্মেন্টস ছুটি : এনআইডি ছাড়া মিলবে না লঞ্চের টিকিট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৭ পিএম, ১০ এপ্রিল,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৩০ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
নদী পথে ঈদযাত্রার টিকিট কাটতে বাধ্যতামূলকভাবে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) কপি জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আজ রবিবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, টিকিট সংগ্রহের আগে এনআইডির কপি দিতে হবে। কেবিন বা ডেকে হোক, লঞ্চে উঠতে গেলে তাকে পরিচয়পত্র সরবরাহ করতে হবে। অন্যথায় আমাদের পক্ষে টিকিট দেয়া সম্ভব হবে না। মালিক-শ্রমিক সবাই মিলেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঈদের ৫ দিন আগে থেকে সাময়িকভাবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হলেও ঈদের পর স্থায়ীভাবে তা কার্যকর করা হবে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য না, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য। এর আরেকটি কারণ আছে। ইতিমধ্যে লঞ্চের কেবিনের মধ্যে দুর্ভাগ্যজনক কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো তদন্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিপদের মধ্যে পড়ে যায়। কাজেই আমরা নিন্ডিত হতে চাই, কোন যাত্রী কোন লঞ্চে পারাপার হচ্ছে।
স্প্রিড বোর্ড রাতের বেলা চলবে না এবং দিনের বেলায় বালুবাহী নৌযান চলবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সবাই সমন্বয় করে যাত্রীসেবা নিন্ডিত করতে চাই। শতভাগ নিন্ডিত করতে চেষ্টা করবো। বাকিটা পরিবেশ এবং পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। যাত্রীদের কাছে আমাদের আবেদন, তারা যেন আমাদের নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করেন। অপরিকল্পিতভাবে তারা যাতে ঈদযাত্রা না করে, এটা আমাদের অনুরোধ যাত্রীদের প্রতি, বলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অনেকক্ষেত্রে লঞ্চে কম ভাড়া নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী তুলে ফেলেন। এতে ওই লঞ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তাই লঞ্চে নির্ধারিত ভাড়াই নিতে হবে। মাওয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটে ২৪ ঘণ্টা লঞ্চ চলবে কী না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাত্রীর চাপ থাকলে সার্বক্ষণিক লঞ্চ চলবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ বা ৩ মে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। সেই তারিখটির প্রতি নজর রেখে আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ২৭ এপ্রিল থেকে তারা পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করবে- বিষয়টি বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র মাধ্যমে আমাদের জানানো হয়েছে। যাতে অতিরিক্ত চাপ রাস্তা ও নৌপথে তৈরি না হয়; সেটি নিন্ডিত করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে ফেরিগুলো ডকইয়ার্ডে আছে, মেরামতের জন্য এগুলো দ্রুত ঠিক করে ঈদের যানবাহন পরিবহনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। তারা আমাদের নিন্ডিত করেছে এবার ৫১টি ফেরির সেবা বিভিন্ন নৌ-রুটে দিতে পারবো।