বিএনপি ছাড়া সবাই নির্বাচনে জয়েন করে, যুক্তরাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ তাদের নিয়ে আসা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:১১ পিএম, ৫ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৫ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (স্থানীয় সময়) সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেন নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের 'রেসপন্স' বিষয়ে আপনি কতটুকু আশাবাদী? এমন এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, "আমি খুবই আশাবাদী। এটা একটা প্রসেসিং যা আমাদের কমপ্লিট করতে হবে। এই দেশের (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রায় জিনিসেই অনেক প্রসেস থাকে। ওই কমিটি, ওই লোকগুলোকে সন্তুষ্ট করতে হবে। সেজন্য সময় লাগবে।
একদিনে (হবে) না, সুইচের মতো না যে অন আর অফ করা যায়। আমাদের দেশের সরকার ইয়েস বললে ইয়েস হয়ে গেলো। এখানে কিন্তু ইয়েস সহজে, চাইলেও (বলতে) পারে না। এই যে ধরুন, ট্যারিফ রেট কমানোর জন্য ২৩ টা কমিটিতে পাশ করতে হয়। তারপর প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে প্রেসিডেন্ট কিছু বলতে পারেন না। এখানে এক্সিকিউটিভ যথেষ্ট আটকা আছে। সে কারণে তিনি সহজে বলতে পারবেন না। আপনাকে প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।"
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বলেছেন, "নির্বাচন যেনো স্বচ্ছ, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। সব দল জয়েন করে, একটি দল (বিএনপি) ছাড়া। এই পার্টি তৈরি হয়েছে মিলিটারি দ্বারা। তারা নির্বাচনে আসে না। যুক্তরাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ তাদের রাজনীতিতে নিয়ে আসা। তাদের ভোটে জিততে হবে, মানুষের কাছে যেতে হবে। সেজন্য আমরা ফেয়ার সিস্টেম করেছি। আমাদের নির্বাচন কমিশন আছে। তারা স্বাধীন। নির্বাচনের সময় সবকিছুর জন্য তাদের একজন 'বস' থাকেন।"
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের এমন বক্তব্যের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনের বক্তব্য জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে মোমেন বলেন, "তিনি বলেছেন, এগুলোতো ভালো। আমার শহরে আমার এমপি আওয়ামী লীগ এর, আমার মেয়র বিএনপির। আমরা খুব স্বাচ্ছন্দের সাথে একত্রে কাজ করি। সুতরাং, নির্বাচনে তাদের স্বাগতম জানাই। (যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছি) আপনারা বরং তাদের আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসুন।"
জানা গেছে, উক্ত বৈঠকের মূলপর্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শ্রম অধিকার, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা সহ নানা আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গও উঠে আসে।