বিএনপি'র মাথায় জাতীয় সরকারের ভূত ঢুকেছে : কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ২ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১৫ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি কী চায়, তা নিজেরাই জানে না। তারা কখনো নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলে, কখনো নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলে। সর্বশেষ তাদের মাথায় জাতীয় সরকারের ভূত ঢুকেছে। তাদের বলব এদিক, ওদিক না ঘুরে বরং নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হয়নি। আন্দোলনও হয়নি, নির্বাচনে অংশ নিতেও ব্যর্থ হয়েছেন। বাকি সময়েও লাভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
আজ শনিবার (২ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের জন্য বই বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ এখন বুঝে গেছে বিএনপির আন্দোলনের ডাক দূরভিসন্ধিমূলক ফাঁকা আওয়াজ, যা মিথ্যাবাদী রাখাল ও বাঘের শিশুতোষ গল্পের কাহিনী ছাড়া আর কিছু নয়। তারা একেক সময় একেক কথা বলে। দেশে কি গণঅভ্যুত্থানের মতো পরিস্থিতি বিরাজমান আছে? জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনে খুশি। গত ১৩ বছরে বিএনপি বহুবার ডাক দিয়ে সাড়া পায়নি। আন্দোলনের কোনো বস্তুগত পরিস্থিতি বাংলাদেশে কোথাও নেই। দল হিসেবে তাদের প্রস্তুতি আছে বললেও বাস্তবে নেই।’
বিএনপির আন্দোলনের নেতা কে জানতে চেয়ে আওয়ামী লীগ জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, দলটির নেতাদের এমন দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, এটা তো জনগণেরই প্রশ্ন। দেশের মানুষ জানতে চায় বিএনপি কথায় কথায় যে আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের দিবা স্বপ্ন দেখে তাতে তাদের নেতৃত্ব দেবে কে? বিএনপি যাকে নেতা বলছে, সে তো দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়েছে। জনগণ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফিরিয়ে আনতে কেন অভ্যুত্থান করবে? আমরা প্রকৃত সত্য তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত করেতে চেয়েছি।’
সময় ও স্রোত যেমন কারে জন্য অপেক্ষা করে না তেমনই নির্বাচনও বিএনপির জন্য অপেক্ষা করবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও একইভাবে যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ যাকে চাইবে সেই ক্ষমতায় আসবে।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এবং ২০২৩-২৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ লক্ষ্যে দলকে আরও সুসংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এজন্য সারাদেশে দলে কোন্দল-কলহ দূর করতে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলা জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।