দ্রব্যমূল্যের দাম কমায় জনগণ স্বস্তিতে কিন্তু বিএনপি অস্বস্তিতে - তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ২৯ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৪৮ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমাদের দেশে আমদানী নির্ভর দ্রব্যের দাম বেড়েছে তখন বিএনপি একদিকে দ্বিচারিতা নীতি অনুসরণ করে অসাধু ব্যবসায়িদের উৎসাহ দিয়েছে পণ্য মজুত রাখতে। অন্যদিকে জনসম্মুখে কর্মসূচি দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির করণে দেশের মানুষের যাতে কোন কষ্ট না হয়, সে জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের দাম কমায় জনগণের মনে স্বস্তি ফিরেছে কিন্তু বিএনপি অস্বস্তিতে।
আজ মঙ্গলবার রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কতৃক আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান আতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিএনপি আছে শুধু টেলিভিশনের পর্দায়। সাংবাদিকরা বিএনপিকে বাচিয়ে রেখেছে। মাঝে মাঝে দু'একটি সমাবেশ করতে দেখা যায়। সেখানেও তারা মারামারি করে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিএনপি সারা দেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আপনারা দেখেছেন যখন পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ শুরু হয় তখন তারা ছেলে ধরা গুজব ছড়িয়েছিল। এর কারণে অনেক নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এ পদ্মাসেতু তৈরী করতে পারবেনা বলে তারা নানা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। আজকে পদ্মাসেতু হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী গাড়ি চালিয়ে পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে একপাড় থেকে অন্যপাড়ে গেছেন। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। তারা করোনার সময়ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। পৃথিবীর ১৩০ টি দেশ যখন টিকা দিতে পারেনি তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে টিকা দেওয়া শুরু করেছেন। করোনার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউ তিনি যেভাবে মোকাবেলা করেছেন তা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভন্ন দেশ এ কার্যক্রম নিয়ে প্রশংসা করেছে। কিন্তু বিএনপি প্রশংসা না করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এরা একদিকে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে আর অন্যদিকে গোপনে টিকা নিয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, তারা বাম ভাইদের দিয়ে একটা হরতাল ডাকালেন। জাফরুল্লা সাহেব হরতাল ডেকে তিনি স্বপরিবারে দেশের বাইরে চলে গেলেন। তাদের হরতালের সময় ঢাকা শহরে বিশাল যানজোটের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের ডাকা হরতালে দেশে যানজোট লাগায় আমার নিজেরও লজ্জা লাগছে।
মন্ত্রী দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগ এখন শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু দেশের জনগণকে স্মরণ করিয়ে দিতে হয়- যে আজ থেকে ১৩ বছর আগে দেশের কি পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু এখন প্রতিটি ইউনিয়নে প্রায় দেড় থেকে হাজার দুই হাজার মানুষ নানা ভাবে ভাতা পায়। রাস্তাঘাট তো উন্নয়ন হয়েছে এর বাইরেও কারো মেয়ে স্কুলে গেলে তাদের মোবাইল ফোনে টাকা চলে আসে। ছোটবেলায় আমরা এটা নিয়ে গল্প শুনেছি, রাজার পক্ষ থেকে হঠাৎ প্রজার কাছে টাকা চলে আসে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্বারোপ করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলায়, উপজেলায় সংগঠন হচ্ছে। আমরাও দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন শক্তভিতের উপর দাড়িয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারা দেশে যেভাবে সংগঠনকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে আমি আশা করি ২০০৯ সালের ন্যায় আমরা আবারো বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবো।
সভায় রাঙ্গুনিয় আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ শিকদার এর সভাপতিত্বে সংগঠনের সকল নেত্রীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।