মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৫ পিএম, ২৫ মার্চ,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৩৭ এএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আজ ২৬ মার্চ, আমাদের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। লাখো শহীদের জীবন আর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার এইদিনে আমাদের শপথ হোক গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের। এইদিনে বিশ্ব মানচিত্রে দেশমাতৃকার স্বাধীন সত্তা প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর আমাদের মহান স্বাধীনতার ৫১ বছর তথা সুবর্ণজয়ন্তী। হাজার বছরের শোষণ, বঞ্চনা ও পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এইদিনে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। ইতিহাসের পৃষ্ঠা রক্তে রাঙিয়ে, আত্মত্যাগের অতুলনীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে সেদিন থেকে দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার চূড়ান্ত পরিণতি। সেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের গৌরব ও অহঙ্কারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন আজ।
আমাদের জাতীয় জীবনের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের মহান এই স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন দমনের জন্যই পরিকল্পিতভবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঘুমন্ত নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা চালায়। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিচিত এই বর্বর হামলায় ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, আরমানিটোলা ও পিলখানায় নির্মম গণহত্যা চালায়। অসহায় নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করায় বিপন্ন মানুষের আর্তচিৎকারে সেদিন আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হলেও হানাদার বাহিনীর হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারেনি। মুহুর্মুহু গোলাবারুদের বিস্ফোরণে রাজধানী ঢাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এই কঠিনতম অবস্থায় ’৭০-এর নির্বাচনের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হন। হানাদারদের হামলায় মুহূর্তের মধ্যেই নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে জনগণ। এমনি এক অনিশ্চয়তা ও শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে ৫৫,৫৯৮ বর্গমাইলের মানুষ যখন বাকরুদ্ধ, হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গুনছে, জীবন নিয়ে পালিয়ে বাঁচবে নাকি জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করবেÑ বুঝে উঠতে পারছে না। আশা দেয়ার, ভরসা দেয়ার, সান্ত্বÍনা দেয়ার যখন আর কেউ এগিয়ে আসছে না, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঠিক এমনি এক অমানিশার ঘোর অন্ধকারে বিদ্যুৎ চমকের মতো ঝলসে উঠলো প্রকৃতি ও মানুষ। বাতাসের প্রতিটি তরঙ্গে কান পেতে সবাই শুনলোÑ ‘উই রিভোল্ট’ আমি মেজর জিয়া বলছি। হানাদারদের প্রতিরোধের মশাল জ্বলে ওঠে চট্টগ্রামের ষোলশহরের অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের প্রাণপ্রিয় নেতার ডাকে। একমাত্র আল্লাহকে ভরসা করে এবং নিজের ও সহকর্মীদের জীবনকে বাজি রেখে সমগ্র ব্যাটালিয়নের কর্তৃত্ব নিজ হাতে গ্রহণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ জিয়া জানিয়ে দিলেন যে, তারা এই মুহূর্ত থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন এবং স্বদেশকে স্বাধীন করার জন্যে যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছেন। এই ঘোষণার মুহূর্তটি ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। ২৬ মার্চ সেই ঘোর অমানিশার মধ্যে, অত্যন্ত আকস্মিকভাবে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো উদয় হলেন জিয়াউর রহমান, কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে। বেতার কেন্দ্রের কর্মীদের সহযোগিতায় তিনিই স্বাধীনতার ঘোষণা উচ্চারণ করলেন। এই ঘোষণাই স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা।
চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন...আমি মেজর জিয়া প্রভিশনাল প্রেসিডেন্ট এবং লিবারেশন আর্মির কমান্ডার ইন চিফ হিসাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। তিনি এ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহবান জানান। পরে তিনি ’৭০-এর নির্বাচনের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষেও স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে অবনতচিত্তে স্মরণ করবে স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের। পাশাপাশি গোটা দেশ আজ মেতে উঠবে স্বাধীনতার উৎসবের আমেজে।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপির মহাসচিব পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। আজ সরকারি ছুটি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবে বিশেষ ক্রোড়পত্র।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলেক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে বলা হয়, ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবদীপ্ত হিরন্ময় সোনালি দিন। লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের শপথ হোক গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা পুনরুদ্ধার এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার। এদিনে বিশ্ব মানচিত্রে দেশমাতৃকার স্বাধীন সত্তা প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর আমাদের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর তথা সুবর্ণজয়ন্তী। আজকের এইদিনে তিনি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবাইকে জানিয়েছেন আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
এ মহান দিনে তিনি শ্রদ্ধা জানান স্বাধীনতা-যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ সকল জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি জানান গভীর শ্রদ্ধা। স্মরণ করেন তিনি সে বীর সন্তানদের অবদানের কথা, যাদের নয় মাস জীবন-মরণ লড়াইয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সেসব মা-বোনের কথা, যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
এইদিনে দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তার ঐতিহাসিক ঘোষণায় দিকভ্রান্ত জাতি পেয়েছিল মুক্তিযদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র। ফলে দীর্ঘ নয় মাস ইতিহাসের এক ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর দেশমাতৃকার মুক্তি লাভ করে।
একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। নানা কারণে আমরা সে লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হইনি। বারবার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের কারণে ভোট, নির্বাচনসহ দেশে স্থিতিশীল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতান্ত্রিক পথচলা বারবার হোঁচট খেয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াই বারবার অবিচল আপোসহীন আন্দোলনে গণতন্ত্রকে স্বৈরশাহীর লোহার খাঁচা থেকে অর্গলমুক্ত করেছিলেন। গণতন্ত্রের সেই অবিসংবাদিত নেত্রী এখন বন্দি। জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টা বেগবান করতে হবে, শক্তিশালী করতে হবে আমাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বকে।
লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার অপতৎপরতা এখনও বিদ্যমান। সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত প্রতিহত করে মাতৃভূমির স্বাধীনতা সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের নুয়ে পড়া পতাকাকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এজন্য গড়ে তুলতে হবে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আজ দেশবাসীর প্রতি তিনি এ আহবান জানান।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনÑ
‘২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের এক গৌরবোজ্জ্বল মহিমান্বিত দিন। ১৯৭১ সালের এইদিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এ বছরও আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। সুবর্ণজয়ন্তীর এই ক্ষণে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। কামনা করি তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। আজকের এই মহান দিবসে আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকেÑ যাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এইদিনে গোটা জাতি ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই সকল জাতীয় নেতার প্রতি, যাঁরা দেশ ও জাতির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন।
অজস্র রক্তধারায় স্নাত মহিমান্বিত আমাদের স্বাধীনতা। কথা ছিল একটি পতাকা পেলে দেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকবে। কিন্তু দেশের মানুষ সেই সুখ, শান্তি পায়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার হাত দিয়ে, তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপোসহীন নেত্রী বেগম জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন, সেই গণতন্ত্র এখন লাশে পরিণত হয়েছে কর্তৃত্ববাদী শাসনে। ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে মূলত গণতন্ত্রই আজ বন্দি। স্বাধীনতার সকল অর্জনকে মুছে দিয়ে অমানবিক দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে জনগণকে কন্ঠরুদ্ধ করার জন্য নানা কালাকানুন, গুম, অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যার অমানবিক নিষ্ঠুরতার সীমাহীন আবর্তের মধ্যে দেশকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশবাসী ভয় ও আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পার হলেও জাতীয় জীবন থেকে দূর হয়নি অন্ধকার। চারদিকে এক দম বন্ধ করা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তাই স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তির এ মুহূর্তে গড়ে তুলতে হবে ইস্পাতকঠিন ঐক্য।
বিএনপির কর্মসূচি : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কর্মসূচি :
১. ২৬ মার্চ ২০২২ শনিবার ভোর ৬টায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের সকল ইউনিট কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন।
২. দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের নেতাকর্মী ২৬ মার্চ ২০২২ শনিবার সকালে সাভারস্থ জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে যাত্রা এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
৩. দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানস্থ কার্যালয় থেকে সকাল ৭-১৫ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
৪. একইদিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ঢাকায় ফিরে এসে মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের মাজারে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের নেতাকর্মী পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন। মাজার প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
৫. স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৩০ মার্চ ২০২২, বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৬. কেন্দ্রীয় বিএনপি মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ করবে।
৭. বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সম্মিলিতভাবে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সারাদেশের জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌর শাখায় স্থানীয় সুবিধানুযায়ী মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি করবে।
৮. মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সকল দলীয় কার্যালয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের ছবিসহ আলোকসজ্জা।
৯. মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে দৈনিক পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
১০. ২৬ মার্চ বেলা ৩টায় বিএনপির উদ্যোগে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘স্বাধীনতা র্যালি’ অনুষ্ঠিত হবে।
১১.স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আগামীকাল ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।