হরতালে ধ্বংসাত্মক কিছু হবে না আশা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৪ পিএম, ২৪ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৪৮ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ ও মানুষ বাঁচানোর দাবিতে ২৮ মার্চ দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতালের ডাক দিয়েছে বামজোট। সেই হরতালে ইতোমধ্যে সমর্থনও দিয়েছে বিএনপি। আর সেই প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘হরতাল, ধর্মঘট, রাজনৈতিক চর্চা। রাজনৈতিক দলগুলো এগুলো করতেই পারে। আমরা মনে করি যে, রাজনৈতিক দলগুলো সহনশীলতার পরিচয় দিবে। তারা কোনো ভাংচুরে যাবে না, ধংসাত্মক কাজ করবে না। জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে না। করলে যেটা হয় সেটাই হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের নবনির্মিত 'পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রীর সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল ২৮ মার্চ বিভিন্ন বাম সংগঠন হরতাল ডেকেছে বিএনপি আবার সেই হরতালের সমর্থনও দিয়েছে। তারা যদি সেখানে কোন নাশকতা করে সেখানে আপনারা কি ব্যবস্থা নিবেন?
প্রতি উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম কথা হলো হরতাল, ধর্মঘট, রাজনৈতিক চর্চা। রাজনৈতিক দলগুলো এগুলো করতেই পারে। আমাদের কথা হলো কেউ যদি রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা করে, কেউ যদি ভাংচুর করে, কেউ যদি কোনো ধংসাত্নক কিছু করেন তাহলে অবশ্যই নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ভূমিকা রাখবে। আমরা মনে করি যে, রাজনৈতিক দলগুলো সহনশীলতার পরিচয় দিবে। তারা কোনো ভাংচুরে যাবেনা, ধংসাত্নক কাজ করবে না। জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে না। করলে যেটা হয় সেটাই হবে।
নির্বাচন আসার আগে অস্থিরতা তৈরি হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অনেকে অনেক ধরনের কৌশল অবলম্বন করে। নির্বাচনে যাতে না আসতে হয়, নির্বাচন যাতে ফেইস না করতে হয়। ভোট না পেয়ে অন্য ভাবে ক্ষমতায় আসা যায় কিনা এই ধরনের অনেক কৌশল অবলম্বন করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভরসায় চলে। জনগণকে নিজেই নিজের শক্তি মনে করে। জনগণের শক্তিতেই তিনি রাজনীতি করেন। যারা এই ধরনের অপচেষ্টা করবেন তারা জনগণ দ্বারা ধিকৃত হবেন। জনগণের থেকে তারা দূরে সরে যাবেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) 'পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ উদ্বোধন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ‘আজকে আমাদের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ আমাদের জন্য সুন্দর একটা যাদুঘর উপহার দিয়েছেন। তিনি প্রথম চট্টগ্রামে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন; স্বাধীনতা যুদ্ধ। ২৫ মার্চ রাজাকার বাগে যে আক্রমনটা হয়েছিল সেটা এখানেও হয়েছিল। এখানেও প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়েছিল। এখানেও একজন আমাদের এসপি সামসুল হক সাহেব যুদ্ধক্ষেত্রে শহীদ হয়েছিলেন। তার সঙ্গে মোট ৮১ জন পুলিশ সদস্য শাহদাত বরণ করেছিলেন। আজকে যে স্মৃতি জাদুঘরটি দেখছেন তার এর স্বাক্ষর হিসেবে আমাদের পুলিশ কমিশনার তৈরি করেছেন। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তার এই উদ্যোগকে নতুন প্রজন্ম নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন এবং নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামবাসী কোনদিন মাথা নত করেননি। সবসময় মাথা উঁচু করে থেকেছে। তার এই স্বাক্ষর হলো এই মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘর। ধন্যবাদ আপনাদের।’
প্রসঙ্গত, ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল, চট্টগ্রামে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা যে অস্ত্রাগার দখলে নিয়ে ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল সেই অস্ত্রগার সংরক্ষণ করে গড়ে তোলা হয়েছে 'পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ জাদুঘরের উদ্বোধন করেন। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের দিন জাদুঘর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এ জাদুঘর নির্মাণ করেন।