আর্ন্তজাতিক বাজারে ভোজ্য পন্যের দাম কমলে দেশের বাজারেও দাম কমবে - বাণিজ্য মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৪ পিএম, ২০ মার্চ,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৫৩ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণেই আমাদের দেশের বাজারেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে, তাহলে দেশের বাজারেও দাম কমবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যদি সিন্ডিকেট না করে তাহলে টিসিবির পণ্য বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। শুল্ক প্রত্যাহার সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের পর আজ থেকেই ভোজ্যতেল অন্তত ১০ টাকা কমে বাজারে আসবে।
আজ রবিবার দুপুরে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিপু মুনশি আর বলেন, রমজান মাসে মানুষ যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে ভোজ্য পণ্য পায়, সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী ভর্তুকি দিয়েও মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সহায়তা দিচ্ছে। মানুষের এই পণ্য নিয়ে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যদি খাদ্য মজুতসহ কোনোরূপ কারসাজি করে, তবে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে। এজন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রথম কিস্তিতে আজ থেকে সারা দেশে একযোগে ৩০ মার্চ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে ৩ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। সুশৃঙ্খলভাবে পণ্য বিক্রির জন্য দেশব্যাপী তালিকা তৈরি করে বিশেষ ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় স্থানীয় জনসংখ্যা, দারিদ্র্যের সূচক বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রায় ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। বিতরণের আগের দিন ফ্যামিলি কার্ড সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সে সময় কার্ডহোল্ডারদের পণ্য বিক্রয়ের স্থান ও সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে একযোগে আজ থেকে পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা তারিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুর মহানগরীর রাধাবল্লভ এলাকায় ডায়াবেটিক সমিতির মাঠে পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি বলেন, রমজানে বাজার সহনশীল রাখাসহ স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এই পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে সরকার মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এই উদ্যোগ সফল করতে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখাসহ যাতে কোনো অসাধু ব্যক্তি হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকা, ৩টি পৌরসভা ও ৮টি উপজেলার মোট ২ লাখ ৮৩ হাজার ৩১২ পরিবার উপকারভোগীর তালিকায় থাকছে। এর মধ্যে করোনাকালীন উপকারভোগীর সংখ্যা ৯৮ হাজার এবং ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩১২ জন নতুন। এসব এলাকায় ১৩৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ২২২টি কেন্দ্রে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। ভর্তুকি মূল্য ৪৬০ টাকা দরে একজন উপকারভোগী ২ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুর ডাল ও ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন।