খালেদা জিয়ার আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ১৬ মার্চ,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫৯ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দন্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এবং তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে আবেদন করেছে পরিবার। বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের ওই আবেদন মতামতের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ বুধবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান। আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের লক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওনাদের (খালেদা জিয়ার পরিবারের) একটা পত্র আমরা পেয়েছি। এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যে পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন হবে সেখানে পাঠাবো আমরা। বেগম খালেদা জিয়ার দন্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। এই অবস্থায় কয়েক দিন আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার জন্য তাঁর ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। বেগম খালেদা জিয়ার নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা রয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বেগম খালেদা জিয়া। সেখানে তাঁর পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান মেডিকেল বোর্ড। গত ১ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। এর আগে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দুই দফা হাসপাতালে যেতে হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। ৭৬ বছর বয়সী এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দন্ড স্থগিত করে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়। প্রথম দফা মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে আসলে ওই বছরের ২৫ আগস্ট বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দ্বিতীয় দফায় গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ মাসের জন্য তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ায়। এরপর ২৫ মার্চ থেকে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ায় সরকার।