অতীতে বেশ কিছু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি - সিইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১০ পিএম, ১৩ মার্চ,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৪১ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত প্রথম সংলাপে সাড়া দেননি দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ।
আজ রবিবার বিকেল ৩টার দিকে আয়োজিত বৈঠকে ৩০ জন শিক্ষাবিদকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। এদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন মাত্র ১৩ জন। উপস্থিত শিক্ষাবিদরা হলেন- ড. জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসাইন, ওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম আবুল কাশেম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, সাদেকা হালিম, ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ড. আখতার হোসেন, লায়লুফার ইয়াসমিন, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান ও ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস চ্যান্সেলর ড. নিয়াজ আহম্মেদ খান।
বৈঠকে সিইসির সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গত ৯ মার্চ নির্বাচন ভবনে তার দফতরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শিক্ষাবিদ, বিশিষ্টজন, গণমাধ্যম, নারী নেত্রী ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করবেন। তাদের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ নিয়ে তৈরি করবেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, অতীতে বেশ কিছু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি। এ বিষয়ে অভিযোগও রয়েছে। এজন্য আগামী নির্বাচন যেন অধিকতর অংশগ্রহণমূলক হয়, প্রকৃত অংশীদারিত্বমূলক হয় সে লক্ষ্যে কমিশন সবার মতামত নিচ্ছে। গতকাল রবিবার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের প্রথম সংলাপ শুরুর আগে সিইসি এ কথা বলেন। নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে ইসির প্রথম বৈঠক বিকেল ৩টায় শুরু হয়। ইসি জানিয়েছে, ধারাবাহিক এ বৈঠক থেকেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরির পরিকল্পনা করা হবে। ধারাবাহিক এ সংলাপে এরপর বিশিষ্ট নাগরিক, গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন (২৭ ফেব্রুয়ারি) শপথ নিয়ে প্রথম অফিস করেন ২৮ ফেব্রুয়ারি। বর্তমান কমিশন সবার সঙ্গে পরামর্শ করে সেই অনুযায়ী নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরির কাজে হাত দিতে চায়। প্রয়োজনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আবারও বিভিন্ন দল ও মহলের সঙ্গে বসতে পারে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনেই আগামী ২০২৩ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২২ মার্চ বিশিষষ্টজনদের সঙ্গে ও ৩০ মার্চ গণমাধ্যমের সঙ্গে বসতে পারে ইসি। অন্য মহলের সঙ্গে কবে নাগাদ বৈঠক হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন তারা শপথ নিয়ে প্রথম অফিস করেন ২৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর পুরোদমে এখনও কাজ করেনি কমিশন। এর মধ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ভোটার দিবস উদযাপন ও নানা আনুষ্ঠানিকতা করেছেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনেই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে ২০২৩ সালের শুরু থেকেই হাতে নিতে হচ্ছে নির্বাচনি প্রস্তুতি। আর তার আগেই সংলাপের আয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন সচেতন মহল।