জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসা না করার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৫ পিএম, ১০ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৫০ এএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসা না করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি অবৈধভাবে পণ্য মজুদদারি, সংরক্ষণ এবং সিন্ডিকেট গঠন করা থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের প্রতি।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে তিনি সচিবালয়ে তার নিজ দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাজারে জনস্বার্থ বিরোধী সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনো মেনে নেয়নি, নিবেন না এবং প্রশ্রয়ও দিবেন না। তিনি রমজান মাস টার্গেট করে জনস্বার্থ বিরোধী এবং বাজার অস্থিতিশীল করার সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদের সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি সংযম হওয়ারও আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে এক দেশের ঘটনাপ্রবাহ অন্য দেশে প্রভাব ফেলে। রাশিয়া ও ইউক্রেন সঙ্কটে আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েকটি পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বাজারেও কয়েকটি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি হয়, এমন কোনো বিষয়ে কখনো নীরব থাকেননি এবং আগামীতেও নীরব থাকবেন না। তিনি জনগণের জীবনমানের সুরক্ষায় গ্রহণ করেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এরই মাঝে বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি জোরদার করা হয়েছে। এ ব্যবস্থা জনস্বার্থে আরো সম্প্রসারণ করা হবে। পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে ওবায়দুল কাদের দেশবাসীকে আস্বস্ত করে বলেন, রমজানে কোনো পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি নেই এবং ঘাটতি হবে না।
তিনি বলেন, পর্যাপ্ত পণ্য মজুদ থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজান এবং বিশেষ বিশেষ সময়ে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। এসব অসাধুচক্রের বিরুদ্ধে সরকার সোচ্চার।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, রমজান মাসে কোনো অসাধু চক্রের কারসাজি সফল হতে দেয়া হবে না। দেয়া হবে না কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে মূল্যবৃদ্ধির অপচেষ্টাকে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নানামুখি উদ্যোগ নিয়েছে, বাজার ব্যবস্থায় মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী নিজেই বাজার পরিস্থিতি মনিটর করছেন।