পরিসংখ্যান একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিমাপক - প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫৮ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিসংখ্যান একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিমাপক। টেকসই উন্নয়ন-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সঠিক, নির্ভরযোগ্য এবং সময়োপযোগী পরিসংখ্যান ভিত্তি হিসেবে কাজ করে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২২’ উপলক্ষে আজ শনিবার এক বাণীতে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দ্বিতীয়বারের মতো ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২২’ পালন করছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘গুণগত পরিসংখ্যান উন্নত জীবনের সোপান’, যা পরিসংখ্যানের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও ব্যবহারের গুরুত্ব বহন করে। সরকার সকল ক্ষেত্রে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য গ্রহণযোগ্য ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান সংগ্রহ ও প্রকাশ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারির সঙ্কট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানিক তথ্য-উপাত্তের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা সঙ্কটকালে সরকার নগদ সহায়তা ও প্রণোদনাসহ সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে মৃত্যুহার হ্রাস এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিসংখ্যান কার্যক্রমে নিয়োজিত চারটি পৃথক সংস্থাকে একীভূত ও সুসমন্বিত করে ১৯৭৪ সালে বিবিএস প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে বিবিএস-এর সার্বিক কর্মকান্ড সমন্বয়, তত্ত্বাবধান ও সাচিবিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় পরিসংখ্যান বিভাগ।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালন দেশবাসীকে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করার একটি অনন্য সুযোগ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সময়োপযোগী সঠিক পরিসংখ্যানের সাহায্যে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো ইনশা আল্লাহ।’ প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।