মানসিক ভারসাম্যহীন বাংলাদেশি যুবককে নয়দিন পরেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:১৪ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালাতারী সীমান্ত দিয়ে পথ ভুলে ভারতে প্রবেশ করায় মানসিক ভারসাম্যহীন বাংলাদেশি যুবককে আটকের নয় দিন পরেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ। ওই যুবকের নাম লুৎফর রহমান (২২)। তিনি উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের নাওডাঙ্গা গ্রামের রাজমিস্ত্রি সেলিম মিয়ার ছেলে।
লুৎফরের বাবা সেলিম মিয়া জানান, আমার ছেলে লুৎফর ৭/৮ বছর আগে অসুস্থ হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। অনেক চিকিৎসা করালেও সে স্বাভাবিক হয়নি। তখন থেকে কাউকে কিছু না বলে মাঝে মধ্যেই বাড়ী থেকে বেরিয়ে যায়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে আবারো নিখোঁজ হয় সে। অনেক জায়গায় খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি। এরমধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে হঠাৎ করে ছেলের ফোন থেকে কল আসে। ফোনে হিন্দিতে কথা বলে ভারতীয় বিএসএফের পরিচয় দেয়। ফোন পাওয়ার পর আমি নিশ্চিত হই যে আমার ছেলে পথভুলে ভারতে প্রবেশ করায় বিএসএফের হাতে আটক হয়েছে। পরে বালারহাট বিজিবি ক্যাম্পে বিএসএফের হাতে ছেলে আটকের বিষয়টি জানাই।
স্থানীয় নুর হোসেন, আলমগীর হোসেন, মজনু মিয়া জানান, বালাতারী সীমান্তের ৯৩১ নম্বর মেইন পিলারের ২ নম্বর সাব পিলারের পাশ দিয়ে পথভুলে ভারতে প্রবেশের সময় কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার অধীন নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে। এ নিয়ে শনিবার সীমান্তে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নের্তৃত্ব দেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি’র অধীন বালারহাট ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আব্দুল হানিফ ও বিএসএফের পক্ষে নের্তৃত্ব দেন ৯০ ব্যাটালিয়নের অধীনের করলা ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর এসআই বিশ্বনাথ।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে লুৎফর নামের এক মানসিক রোগী যুবক বিএসএফের হাতে আটক হয়েছে বলে শুনেছি। সে ভুলবশত সীমান্ত অতিক্রম করেছে। বিজিবি ছেলেটিকে ফেরত আনার চেষ্টা করছে। ছেলেটি পরিবারের কাছে ফিরে আসুক এটাই প্রত্যাশা করছি।
এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি’র অধীন বালারহাট ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আব্দুল হানিফ জানান, আটক যুবকের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। বিএসএফের সাথে কথা হয়েছে। আটক যুবক দিনহাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মানসিক রোগীর সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে।