বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আন্দোলনে বেশি অবদান কবিদের : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৪ পিএম, ২৭ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:২০ এএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের আন্দোলনের ক্ষেত্রে বেশি অবদান রয়েছে কবিদের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি একজন রাজনীতিবিদ, বক্তৃতা দিয়ে বেড়াই কিন্তু আমার মনে হয়, আমি যে কথা বলে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারি তার চেয়ে অনেক বেশি উদ্বুদ্ধ হয় মানুষ একটা কবিতার মধ্য দিয়ে, গানের মধ্য দিয়ে, নাটকের মধ্য দিয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ২০২০-২০২২’ এর উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ২০২০-২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে এসব কথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আবৃত্তি উৎসবে ভার্চুয়ালি যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর যখন কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করা যাচ্ছিল না তখন আমাদের কবিতার মধ্য দিয়েই প্রতিবাদের ভাষা বেরিয়ে আসে এবং মানুষ সেখানে উদ্বুদ্ধ হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নাট্যকার দীন বন্ধু মিত্রের ‘নীল দর্পণ’ নাটকের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন যেভাবে এগিয়ে গিয়েছিল- একটি কবিতার শক্তি যে কত বেশি সেটাতো আমরা নিজেরাই জানি। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর যখন কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করা যাচ্ছিল না তখন আমাদের কবিতার মধ্য দিয়েই প্রতিবাদের ভাষা বেরিয়ে আসে এবং মানুষ সেখানে উদ্বুদ্ধ হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর কত বার আঘাত এসেছে কিন্তু বাঙালি বসে থাকেনি, প্রতিবারই প্রতিবাদ করেছে। কারণ, আমাদের সাহিত্য চর্চাতো বৃথাই হয়ে যেতো। এক একজন কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার আমাদেরকে যা কিছু দিয়ে গেছেন এ গুলো আমাদের সম্পদ।’
কবিতার অমোঘ শক্তির কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমরা যখন আন্দোলন শুরু করলাম স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, তখনও কত নাটক, কবিতা-বিভিন্ন আবৃত্তির মধ্যদিয়েই এগিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। সেখানে অনেক বাধা বিপত্তিও এসেছে। তখনকার কবিতার উৎসব অনেক বাধার মধ্যদিয়েই করতে হতো।
প্রধানমন্ত্রী জানান, এসব কবিতা পাঠের আয়োজন বা উৎসবে যাওয়া তাঁর অভ্যাস ছিল, কখনো দূরে বসে বা গাড়িতে বসেও তিনি শুনেছেন। গ্রাম বাংলার চিরায়ত ‘কবি গান’র আসরের প্রসঙ্গ টেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আমাদের দেশে আগে কবিয়ালদের লড়াই হতো। আসলে বাঙালিরা সহজাত ভাবেই কবি, এটা হলো বাস্তবতা।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের ৫ দিনব্যাপী এই আবৃত্তি উৎসবের উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিদ্বয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ২০২০-২২’-এর প্রদান করেন।
বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।