এই আইন হলে বিএনপি ভোটে চুরি করতে পারবে না : আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ২৩ জানুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪১ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে করা আইনের খসড়া বিল আকারে জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৩ জানুয়ারি) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল ২০২২’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন। আইনটি উত্থাপনের বিরোধিতা করেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।
এর জবাবে আইনমন্ত্রী বলেছেন, এই আইন হলে বিএনপি ভোটে চুরি করতে পারবে না। এ কারণে তাদের এতো গাত্রদাহ।
বিলের বিরোধিতা করে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ বলেন, ‘যে বিল আইনমন্ত্রী এনেছেন, তা জনগণের প্রত্যাশা, রাজনৈতিক দলগুলোর এবং সুশীল সমাজের যে প্রত্যাশা, তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য একটি আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে আসছিলাম। আজ আইনমন্ত্রী যে বিল উত্থাপন করেছেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে। বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলা হয়েছে—‘যাহা লাউ, তাহাই কদু’।’
হারুন বলেন, এর আগে অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে গঠিত দুটি কমিশনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য এই আইন আনা হয়েছে। এখানে নতুনত্ব কিছু নেই। এর আগে যে কমিশন গঠিত হয়েছে, তার অনুরূপ বিল এখানে তোলা হয়েছে।
হারুনের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, কোথাও এ রকম স্বচ্ছভাবে ইসি গঠন করার পদ্ধতি নেই। এই আইন হলে এবং এর মাধ্যমে ইসি গঠিত হলে বিএনপি চুরি করতে পারবে না, এ জন্য তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেরা নির্বাচনে জয়ী হতে ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল। নিজেদের পছন্দের মানুষকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়েছিল। এগুলো কারও সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়নি। আলোচনার প্রয়োজনও মনে করেননি। কারচুপি করে ক্ষমতায় আসার জন্য এসব করেছিল বিএনপি।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন করতে হবে। আমরা সেই আইন করেছি। ওনারা বুঝে বলুন না বুঝে বলুন, বলছেন এটা সার্চ কমিটির আইন। ওনারা বলছেন, আইনটা আমরা ঠিক করিনি। ওনাদের সঙ্গে আলোচনা করিনি।’