শিল্পকলার আয়-ব্যয়ের তথ্য চেয়ে ডিজিকে দুদকের নোটিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ৫ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২৮ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গত দুই অর্থবছরের বাজেট, ব্যয় এবং ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের নথিপত্র চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (ডিজি) লিয়াকত আলী লাকীকে নোটিশ পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
নোটিশে ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিল্পকলা একাডেমির বরাদ্দ বাজেট এবং ব্যয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি ডিজির কাছে চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ২০২০-২১ অর্থবছরে বরাদ্দ বাজেট এবং ব্যয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি এবং অব্যয়িত ৩৫ কোটি টাকাসহ গত বছরের ৩০ জুন ব্যয়করণ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজন সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি চাওয়া হয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ব্যয় সংক্রান্ত বিভিন্ন ভাউচার, ক্যাশবই এবং শিল্পকলা একাডেমির নামীয় সোনালী ব্যাংক, সেগুনবাগিচা শাখা থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপি চাওয়া হয়েছে শিল্পকলা ডিজির কাছে। লিয়াকত আলী লাকীকে আগামী ১১ জানুয়ারির মধ্যে এসব তথ্য দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে নোটিশে।
গত সোমবার শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মসাতসহ বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য টিম গঠন করে দুদক।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়েছে এবং পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক যুগ ধরে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা লিয়াকত আলী লাকী অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি তহবিল থেকে ২৬ কোটি টাকা তুলে নেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ৩০ জুন শিল্পকলা একাডেমির আগের সচিব নওশাদ হোসেন বদলি হন। সেদিনই নতুন আদেশ জারি করে একাডেমির চুক্তিভিত্তিক পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিমকে সচিবের দায়িত্ব দেন শিল্পকলার ডিজি। ৩০ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২৬ কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে উত্তোলন করেন লাকী। পরস্পর যোগসাজশে এই অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে সঙ্গীত বিভাগের কক্ষে ব্যবহারের জন্য পর্দা, ক্রোকারিজ ও ফার্নিচার না কিনে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ, ডান্স এগেইনস্ট করোনা কর্মসূচির আওতায় নৃত্যদলের সম্মানী, হার্ডডিস্ক ক্রয়, ডকুমেন্টেশন, প্রপস-কস্টিউম, প্রচার ও বিবিধ ব্যয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের বরাদ্দ দেন তিনি।